জকিগঞ্জের ভরণ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বহুল আলোচিত সাম্মী হত্যা ঘটনার কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলার কোন অগ্রগতি না থাকায় হতাশ সাম্মীর পরিবার।
নিখোঁজ হওয়ায় ৫দিন পর গত ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে জকিগঞ্জ পৌরশহরের কেছরী গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে শিশু কন্যা সাম্মী আক্তার (৭) এর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে সারা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সাম্মী আক্তারের পিতা জকিগঞ্জ থানার বাবুর্চি আজমল হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন, পিবিআই ও সিইআইডির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ঘটনার কোন ক্লু উদ্ধার করেত পানেনি পুলিশ।
এদিকে সাম্মী আক্তারের বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক এ নারকীয় ঘটনায় স্তম্বিত ও হতবাক। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের একা স্কুলে দিতে ভয় পাচ্ছে।
মামলার তদন্তকর্মকর্তা সুমন কুমার দাস জানান, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছে, কিন্তু এখনো হত্যার রহস্য ও তথ্য পাওয়া যায়নি।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, ‘পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো কাউকে আটক করতে করা যায়নি। হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’