জকিগঞ্জে কাজ না করায় তোপের মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড

সুরমা-কুশিয়ারা নদী বেষ্টিত জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে নির্মিত বাঁধের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ২৮টি স্থান মেরামতের কথা থাকলেও কাজ না করায় উপজেলার ৭টি স্থান দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বন্যা দেখা দেয়ায় ও ‍কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট হওয়ায় তোপের মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্ষা মৌসুমের আগেই এসব মেরামতের জন্য জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সাংসদ হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ডিও লেটারও দিলেও সেটি আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তরটি।

আজ শনিবার (২২ জুন) উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় জকিগঞ্জের জনপ্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়েন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড শুষ্ক মৌসুমে কাজ করে না। বর্ষা মৌসুমে যেনতেন প্রকারে কাজ করায় পানি উন্নয়নের টাকা পানিতেই যায়, কোন কাজে আসে না। জকিগঞ্জের জনপ্রতিনিধি এমনকি উপজেলা প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালির কারণে আজ পুরো জকিগঞ্জ বন্যায় ভাসছে। দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বন্যার পানিতে জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের বেশ কয়েকটি উপজেলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এসময় তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরেজমিনে এসে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল কালাম, এমএজি বাবর, রাজু আহমদ, আব্দুল হামিদ, ময়নুল হক, শিবলু আহমদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পালসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী সাজু শিকদার জানান, জকিগঞ্জে সুরমা কুশিয়ারার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের ৭টি স্থান ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে এমন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। জরুরি ভিত্তিতে ১৫ টি স্থানে মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শিগগিরই এসব কাজ সমাপ্ত করা হবে। বাকিগুলো পরবর্তীতে কাজ করা হবে।