বিয়ানীবাজার থেকে দুদিন পূর্বে চুরি যাওয়া চোরাই মোটরসাইকেলসহ এক চোরকে হাতে নাতে আটক করেছেন মোটরসাইকেলের মালিক জুয়েল আহমদসহ স্থানীয় জনতা।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কলেজ রোডে তাকে ধাওয়া করে মাহমুদ ম্যানশন থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে চোরকে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। আটকের পর উপস্থিত জনতা তাকে ‘উত্তম-মধ্যম’ দিয়েছিলেন।
ধৃত কিশোর আবু হানিফ সাত আট বছর পূর্বে বিয়ানীবাজার উপজেলার ছোটদেশ এলাকার তাজ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। তার বাড়ি বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায়। পিতামাতাহীন আবু হানিফকে দত্তক নিয়েছিলেন তাজ উদ্দিন। তিনি জানান, সাত থেকে আট বছর পূর্বে সে পালিয়ে যায়। এখন কোথায় থাকে কি করে সেটি জানেন না তিনি।
পুলিশ মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে আটক কিশোর আবু হানিফের কাছে থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও নগদ ৭৩২টাকা জব্দ করেছে। ধৃত আবু হানিফ কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকা থেকে মোটর সাইকেলটি চুরি করেছে বলে জানায়। সাথে থাকা চাবি মোটরসাইকেলের লকে ঢুকিয়ে চাপ দিতে মোটর সাইকেলটি খোলে যায়। সে স্টার্ট দিয়ে পালিয়ে যায়। গত দুইদিন থেকে কাস্টমার খোঁজছিল। রোববার কাস্টমারের খোঁজে কলেজ রোড এলাকায় আসলে তাকে ধাওয়া করেন মোটরসাইকেলের মালিকসহ কয়েকজন। উপস্থিত জনতার কাছে সে জানায়, সিলেটের নজরুল নামের একজন তার সাথে জড়িত রয়েছে। সে মোটরসাইকেলটি বিক্রি করার জন্য তাকে বলেছে।
এর আগে গত দুইদিন আগে বিয়ানবাজার পৌরশহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামন থেকে চুরি যায় কুড়ারবাজার ইউনিয়নের দেউলগ্রাম এলাকার জুয়েল আহমদের মোটরসাইকেল। চুরির ঘটনায় তিনি বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়রি করেছিলেন।
এদিকে, বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও আশপাশ এলাকা থেকে প্রায়ই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল ও চোর সনাক্ত না হওয়ায় ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে মোটরসাইকেল চোরচক্র ও মূল হোতা। এ নিয়ে স্থানীয় মোটরসাইকেল মালিকদেরকে প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন থাকতে হয়।