হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে শ্বশুর নুর আলমকে (৪৯) হত্যার পর ঘাতক জামাতা সেলিম (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার ডেউয়াতলি গ্রামের মসজিদের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
সেলিম ইউনিয়নের উত্তর কালিনগর এলাকার আবু মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) রাতে উপজেলার পানছড়ি আশ্রায়ণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের আট ঘণ্টার মধ্যে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের একটি দল অভিযানে অংশ নেন।
ওসি রাশেদুল হক জানান, সেলিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে নুর আলমের মেয়ে লিজু বেগমকে বিয়ে করে সেলিম। সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে গত ২ জুলাই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সেলিম স্ত্রীকে মারধর করে। পরে লিজু চুনারুঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
আরও জানা গেছে, জামাতার অনুপস্থিতিতে নুর আলম তার পরিবারের লোকজনকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখান। বিষয়টি জানতে পেরে রোববার দুপুরে সেলিম বাড়ি ফিরে সন্ধ্যার পর শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে কথা কাটাকটি হয়। পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে সেলিম ঘরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শ্বশুরের বুকে ও মুখে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম