হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তার গাফিলতি ও দুর্নীতিতে বঞ্চিত সাধারণ সুবিধাভোগীরা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সুবিধাভোগীরা মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বছরের পর বছর পর বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও বহাল তবিয়তে চলছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কার্যক্রম।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাবে নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎতের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ সালে উপজেলায় দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা বাবদ উক্ত কার্যালয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ৩৭ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। এর পেক্ষিত ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা থেকে ১৪০ জন দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রাপ্তির জন্য উপজেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে কোনো অর্থই পাননি সুবিধাভোগীরা।
এদিকে সরকারি বরাদ্দের অর্থ চুনারুঘাটের সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে রয়েছে। ফলে দীর্ঘ পাঁচ বছরসহ ওই অর্থবছরের দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা তাদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন জানান, প্রতি বছর এ উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার মা গর্ভধারণ করেন। যার ৭০ শতাংশ দরিদ্র শ্রেণির এবং ভাতা পাওয়ার যোগ্য।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রোমানা আক্তার জানান, এই অর্থ না পাওয়ার কারণ হচ্ছে তৎকালীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াসমিনের সময়ে এমইএস ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন করতে না পারা। ফলে এই অর্থ কোনো কাজে আসেনি। আমি চেষ্টা করছি এই অর্থ ফেরত না দিয়ে কাজে লাগানোর জন্য।
এ বিষয়ে জানতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জেনে দুঃখ প্রকাশ করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির লস্কর বিষয়টি জেনে দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি এটি তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।