শহরের এক পিঠা বিক্রেতা মোজাম্মেল মিয়া। রাস্তার মোড়ে চিতল পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেন তিনি। অন্যান্য মৌসুম জুসের ব্যবসা করলেও শীতকালে বেছে নেন পিঠা বিক্রির কাজ। এতে তার আয় রোজকারের চাকা সচল থাকে।
বিশেষ করে দুপুর থেকে শুরু করে রাত বারোটা পর্যন্ত চলে তার এই পিঠা বিক্রি। তবে তাকে একটা পিঠাই বানাতেই দেখা যায়, যেটাকে আমরা চিতল পিঠা বলে জানি।
কয়লা দিয়ে চালিত দুটি চুলায় কড়াই সাজানো। চামচ দিয়ে গুড়ো কড়াইয়ে দিয়ে সরা দিয়ে ঢেকে রাখেন কিছুক্ষণ। মিনিট চারেক পর পিঠা নামিয়ে সরাসরি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন।
সাথে থাকে বাহারি রকমের ভর্তা, যেমন- শুটকি ভর্তা, ধনিয়া ভর্তা, সরিষা ভর্তা। ১০ টাকায় তার বানানো পিঠা খান নানা শ্রেণি-পেশার পথচারীরা।
মোজাম্মেল জানান, চাউল চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে বিভিন্ন পদ্ধতিতে গুড়া করে নেন। বানানো শুরু করার একঘন্টা আগে গরম পানিতে চাউলের গুড়ো কে ভিজিয়ে পিঠা বানানোর উপযোগী করে নিতে হয়।
মাটির চুলায় তৈরি মোজাম্মেল মিয়ার চিতল পিঠার স্বাদে মোহিত হোন মানুষ৷