রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দিনে গার্ডার দুর্ঘটনার দিনে চালকের নির্দেশনায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী (হেলপার)।
বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারের ৫ আরোহী নিহতের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানায় র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ব্রিফিংয়ে আরও জানান, ক্রেনটির চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না।
এর আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯জনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
এ বিষয়ে র্যাব-১ এর এএসপি ইমরান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গার্ডার দুর্ঘটনার ঘাতক ক্রেনচালক, তার সহকারী এবং নিরাপত্তা জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৫ আগস্ট) উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে নিহত হন প্রাইভেটকারে থাকা ৫ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। ১৫ আগস্ট বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৭), তার খালা ঝর্না (২৮) এবং ঝর্নার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। পথে উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে পৌঁছালে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সবাই মারা যান। তবে গুরুতর আহত হন নবদম্পতি।