চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়েই ইউরোপে ৩ স্বাস্থ্যকর্মী

কানাইঘাটে চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়িই গোপনে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসের দুইজন স্বাস্থ্য সহকারি ও একজন ইউনিয়ন পরিদর্শক।

তবে বিষয়টি জানার পর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালককে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে জানানোর পর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি।

জানা যায়, উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো: ইকরামুল হক ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর থেকে, একই ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী লুৎফা বেগম চৌধুরী একই বছরের ১২ নভেম্বর থেকে এবং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী শিল্পি রানী দাস ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো: ইকরামুল হক ও লুৎফা বেগম চৌধুরী যুক্তরাজ্যে রয়েছেন এবং শিল্পি রানী দাস ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ইকরামুল হক বাড়ি কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের উপর ঝিঙ্গাবাড়ী চরিগ্রামে ও লুৎফা বেগম চৌধুরী একই ইউনিয়নের দলইমাটি গ্রামে।

এ তিন জন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে কোন ধরনের ছুটি এবং চাকুরী থেকে অব্যাহতি না নিয়ে গোপনে ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের গ্রামের নিজ নিজ ঠিকানায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলে তাদের পরিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহকারি মারুফ আহমদ।

তিনি বলেন, অফিসকে না জানিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি বা ছুটি না নিয়ে এ তিন জন ইউরোপে অবস্থান করায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। তবে তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্তের কোন চিঠি অফিসে অদ্যবধি আসেনি।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) ডাঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কানাইঘাটে অতিরিক্ত হিসেবে সদ্য আমি দায়িত্ব পেয়েছি। চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়ে এ তিন জন ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন তা আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

জানা গেছে, ইকরামুল হক, লুৎফা বেগম চৌধুরী ও শিল্পি রানী দাস স্ব স্ব কর্মস্থলের তথ্য আদান-প্রদানের সরকারি ট্যাব নিয়ে গেছেন।