মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেট, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের চা-বাগানে চলমান ধর্মঘট নিরসনে চা-শ্রমিক ও বাগান মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনিডিসি। এজন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আসবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, মহাপরিচালক শ্রীমঙ্গলে এসে প্রথমে বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বসবেন। পরে তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এখন যেহেতু ধর্মঘটের কারণে দুইপক্ষের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাই শুরুতেই দুইপক্ষকে নিয়ে এক সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান কঠিন হবে। ইতোমধ্যে উভয়পক্ষকে মহাপরিচালকের সঙ্গে বসার জন্য বলা হয়েছে। তাঁরা আসবেন।
বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল বলেন, যেহেতু মহাপরিচালক আমাদের সঙ্গে বসে চলমান আন্দোলনের একটি সমাধান করতে চাইছেন, আমরা আলোচনায় রাজি আছি। তবে কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলবে। আমরা ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সেখানে যাবো।
নিপেন পাল আরও বলেন, আমাদের শ্রমিকেরা কী কঠিন অবস্থায় আছে, সেটি সরকার ও মালিকপক্ষকে অবশ্যই দেখতে হবে। চা–বাগানের শ্রমিকদের খাদ্যের অভাব, ভালো চিকিৎসার অভাব, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অভাব। ঘরে ঘরে শ্রমিকদের কষ্ট। আমরা এর একটি ভালো সমাধান চাই। ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশে এসে আমরা দাসত্বের জীবন কাটাতে চাই না। আমাদের দাবি নিয়ে সুন্দর সমাধান পেলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবো। কিন্তু দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবো।
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার থেকে চা–বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৪ দিন এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের পর গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।