দেশের চা-শ্রমিকদেরকে পর্যায়ক্রমে ভূমি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চা-শ্রমিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে এমন ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার পর এই প্রথম শোষিত চা-শ্রমিকদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বললেন দেশের কোনো রাষ্ট্রপ্রধান। এর মধ্য দিয়ে জীবনের পরম চাওয়া পূরণ হলো বলে জানিয়েছেন চা-শ্রমিকরা।
শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের মুখ থেকে তাদের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন। এ সময় পর্যায়ক্রমে তাদের ভূমির অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবায় অ্যাম্বুলেন্স ও রেশন বাড়ানোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
গত রোববার বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক শেষে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওইসময় কথা দেন চা শ্রমিকদের সাথে তিনি কথা বলবেন।
অবশেষে শনিবার বিকেল ৪টায় এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি মুখোমুখি হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চা-শ্রমিকদের। এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন চা-শ্রমিকরা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তুলে ধরেন তাদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার কথা।
মতবিনিময়কালে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান চা-শ্রমিক নেতারা।