মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে দলই ভ্যালি ক্লাবে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিফাত উদ্দিন, কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসিদ আলীসহ বিভিন্ন চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।
চা শ্রমিকদের পক্ষে পাত্রখোলা চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শীপন চক্রবর্তী, মদনমোহনপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি উমা সংকর গোয়ালা, শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েকসহ বিভিন্ন বাগানের পঞ্চায়েত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় চা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানানো হলেও তাদের দাবি একটাই, মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া তারা কাজে যোগ দেবেন না।
পাত্রখোলা চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শীপন চক্রবর্তী বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি ঘোষণা না এলে চা শ্রমিকদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিফাত উদ্দিন বলেন, চা শিল্পের স্বার্থ বিবেচনা করে শ্রমিকদের কাজে যোগদানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু চা শ্রমিকেরা মজুরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘোষণা শুনতে চান। তাদের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান বাজারমূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে প্রতিদির দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি ও ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন সারা দেশের চা শ্রমিকরা।