রান্না করে ফেলে দেওয়া চা-পাতা থেকে সার তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘নৈবেদ্য’ নামের একটি দল। টেক টি ফার্টিলাইজার নিয়ে একটি প্রজেক্টে কাজ করে ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের সামিয়া রহমানের ‘নৈবেদ্য’ দলটি।
ইউনিসেফের অর্থায়নে টিম নৈবেদ্য’র প্রজেক্টটি বর্তমানে কাজ করছে সিলেটের উপশহর এলাকায়। সেখান থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে বিভিন্ন নার্সারিতে সার সরবরাহ করা হচ্ছে।
‘নৈবেদ্য’ দলের টিম লিডার সামিয়া রহমান, যিনি আর্মি ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, সিলেট মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট বিভাগীয় কার্যালয়ে এর উপর একটি গবেষণা চলছে। সকল ধরনের উদ্যানের গাছে এই সার প্রয়োগ উপকারি এবং তা সুলভ মূল্যে ব্যবহারযোগ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানকার উদ্ভাবন সচরাচর সবার চোখে পড়ে না। আমাদের অনেকেই নিজেদের কমিউনিটিকে এমন একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরার সুযোগ পান না। এই প্রতিযোগিতার অংশ হতে পারাটা আমার জন্য জীবন বদলে দেওয়ার মতো একটি অভিজ্ঞতা। এখন আমি আমার ভাবনাগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।
তাদের লক্ষ্য হল, এই সারটি খুব ন্যূনতম হারে সরবরাহ করা কারণ সংমিশ্রিত সার জনগণের জন্য ব্যবহার করা খুব ব্যয়বহুল। তাদের পরিকল্পনা, চা বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করা যা আমাদের দেশে এখনও অপ্রিয়। বর্তমানে সিলেটের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করলেও ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশে কাজ করবে টিমটি।