বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করে ২ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটের অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বাহিনী।
এই জয়ে ফরচুন বরিশালকে টপকে আবারও চলতি বিপিএলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এখন মাশরাফির দলের পয়েন্ট ১৪, সাকিবের বরিশালের ১২।
সিলেটের লক্ষ্য ছিল ১৭৫ রানের। রান তাড়ায় নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো সূচনা পায় সিলেট। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৮ ওভারে ৬৩ রান তোলেন শান্ত। হৃদয় অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ১৮ বল খেলে করেন ১৩ রান। দলীয় ১১০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ৪৪ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় বাঁহাতি এই ওপেনার করেন ৬০ রান।
তৃতীয় দ্বিতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম আর রায়ান বার্ল মিলে বলতে গেলে ম্যাচটা বের করে নেন। ২২ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন তারা। বার্ল ১৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪১ রান করে যখন আউট হন, ম্যাচ হেলে পড়েছে সিলেটের দিকে।
মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৪১ রানে। এ ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। জাকির হাসান ৪ বলে করেন অপরাজিত ৮ রান।
এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি করলেন মেহেদি মারুফ। তবে দলকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার আসল দায়িত্বটা পালন করেছেন অধিনায়ক শুভাগতহোম চৌধুরী। শুভাগতর বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় চট্টগ্রাম। ইনিংসের প্রথম বলেই মাশরাফি বিন মর্তুজা তুলে নেন উসমান খানকে।
আফিফ হোসেনকে নিয়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন মেহেদি মারুফ। ২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আফিফ। মেহেদি মারুফ ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংসে হাঁকান ৭টি চার আর ২টি ছক্কা।
তবে তারপরও ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চট্টগ্রাম। সেখান থেকে বলতে গেলে একাই দলকে টেনে তোলেন শুভাগত। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। ২৯ বলে তার হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি করে চার-ছক্কার মার। ১২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
সিলেটের ইমাদ ওয়াসিম ২৩ রানে নেন ২টি উইকেট। মাশরাফি ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৬।