প্রবাসিকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, এ বছর গ্রীস, মালয়েশিয়া, রোমানিয়া, ইতালি, মাল্টাসহ বেশ কয়েকটি দেশে প্রায় ১৫ লাখ কর্মী পাঠানো হবে। নতুন নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশের প্রক্রিয়াও চলছে। আসছে ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়াতে গিয়ে চুক্তি করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইউরোপের দেশ গ্রীস বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চার হাজার করে মানুষ নেবে। যারা অনিয়মিত হিসেবে সেখান থেকে ফেরত আসবেন, তাদেরকে সেই চার হজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চারশো পরিবারের মাঝে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও হংকং রেডক্রসের সহায়তায় গৃহনির্মাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর এমওইউ – সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কর্মী প্রেরণ বিলম্বিত হওয়ার কারণও জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শিগগিরই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আসছেন; এরপরই চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে চুক্তি বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে, অচিরেই বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও, চুক্তি অনুযায়ী গ্রীস ১৫ হাজার অবৈধ বাংলাদেশীকে বৈধতার সুযোগ দিচ্ছে। তবে, এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন প্রবাসিকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
এসময় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সরকার নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার মান বেড়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠছে। তাই শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।