গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে সকাল থেকে শুনানি শুরু হয়। চলবে বিকাল পর্যন্ত। আজ কোনও কারণে শুনানি শেষ না হলে চলবে আগামীকালও। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়।
গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে পাঁচ প্রতিষ্ঠান। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
আজ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব ছড়াও ট্যারিফের ওপর শুনানি হবে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে আগেই জানিয়েছে, দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে ১১২৭ কোটি টাকা, একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ১৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১৪০২ কোটি টাকা, নর্দান ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বলছে তাদের ৫৩৫ কোটি টাকা লোকশান হবে। ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনও আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলছে দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে।
গত ২১ নভেম্বর বিতরণ কোম্পানির জন্য পাইকারি দর ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। তবে বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
জানা যায়, দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ানোর পরও বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তকি দেবে সরকার।
কমিশন গত ২১ নভেম্বর পাইকারি দাম বৃদ্ধির আদেশ দেওয়ার সময় জানায়, এই দাম বৃদ্ধির ফলে এখনই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। তবে এই দাম বৃদ্ধির আগের দিনই ২০ নভেম্বর প্রথম কমিশনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদন করে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়লে মানুষের বাসাবাড়ির দামের সঙ্গে শিল্প এবং বাণিজ্যের দাম বাড়বে। ফলে দেশে আরেক দফা মূল্যস্ফীতি বাড়বে। গত বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফিতি অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ সংকটের মধ্যে রয়েছে।