গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের কাছে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে নারী ও শিশুসহ প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নিয়ে আটকে পড়েছে।
সোমবার গুরুগ্রাম-অলওয়ার জাতীয় মহাসড়কে শোভাযাত্রাটি আসলে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি। স্থানীয় বজরং দলের এক কর্মীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আপত্তিকর ভিডিও পোস্টের জেরেই ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
খবরে বলা হয়, এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত ওই শোভাযাত্রা আটকে দেয়ার অভিযোগ ওঠে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। মিছিল লক্ষ্য করে তারা পাথর ছোঁড়ে। এর পরই সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসের পাশাপাশি শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে পুলিশ।
এসময় একাধিক সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয়। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, গুরুগ্রামের নুহ’তে ‘ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা’ নামে এক ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শোভাযাত্রাটি গুরুগ্রাম-অলওয়ার মহাসড়কে আসলে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। এসময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
প্রাণ বাঁচাতে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া নারী ও শিশুসহ অন্তত আড়াই হাজার মানুষ স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা ওই মন্দিরের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
পুলিশের ভাষ্য, মনু মানেসার নামের বজরং দলের ওই সদস্য ও তার সহযোগীরা একাধিক ফৌজদারি মামলার আসামি। বিতর্কিত ভিডিওতে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন যে, ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তিনিও থাকবেন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত মনুকে এলাকাবাসী অপছন্দ করে। ফলে মিছিলে তাকে দেখার পরপরই ছড়ায় অশান্তি।
সূত্র : এনডিটিভি