গোলাপগঞ্জে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের প্রস্তাবিত ভূমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টায় উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নাজিমুল হক লস্করের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু।
বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য হোসেন আহমদ খোকা, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালিক, সিনিয়র সাংবাদিক অজামিল চন্দ্র নাথ, মুরব্বি বিশিষ্ট মুরব্বি বড়দা চন্দ্র নাথ, আব্দুল মন্নান, শরফ আহমদ, শাহাব উদ্দিন, যুবক কাওছার আহমদ, ফখরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম শাকিল।
মেহেদি হাসানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সামছুল হুদা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন- ১৯৮৭-৮৮ সালে এরশাদের শাসনামলে উপজেলার গোলাপগঞ্জ-ঢাকাদক্ষিণ সড়কের ধারাবহর এলাকায় ‘উপজেলা স্টেডিয়াম’-এর যাত্রা শুরু হয়। ৩ একরেরও বেশী জায়গার উপরে প্রতিষ্ঠিত এ স্টেডিয়ামে তৎকালে দুটি গোলপোস্ট বসানো হয়। এরপরে আর কোন উন্নয়ন হয়নি এবং মাঠটি দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা নিলে ওই স্টেডিয়াম ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’ নামকরণ করা হয়।
বক্তারা বলেন- প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভূমি কে বা কাহারা আত্মসাৎতের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তরা স্টেডিয়ামের ভূমিতে খুঁটি-বেড়া দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে স্টেডিয়ামের ভূমি দাতারা দানকৃত ভূমি ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে না। একদল দুর্বৃত্ত সকলের অগোচরে ভূমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা যে সকল দুর্বৃত্তরা স্টেডিয়ামের ভূমি দখলের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে ভূমি দখলে যারা লিপ্ত রয়েছে তারা যদি দখলের চেষ্টা থেকে ফিরে না যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে বক্তারা জানান।
এছাড়াও প্রতিবাদ সভায় এলাকার সর্বস্থরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।