সিলেটের গোলাপগঞ্জে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে ‘ফু’ দেওয়ার কথা বলে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে এক ইমামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ সুনামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হামলার শিকার গুরুতর আহত মসজিদের ইমাম মো. লায়েছ আহমদ বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (নম্বর- ২৪, তারিখ- ৩০/১২/২২) দায়ের করেছেন। তিনি উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের জগঝাপ গ্রামের আজমল আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হামলার শিকার লায়েছ আহমদ প্রায় ২ বছর থেকে সুনামপুর বাবরী জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। এর পূর্বে প্রায় ৫ বছর আসামিদের বাড়ির পাশে নূরানী জামে মসজিদে ইমামতি করেছেন। পূর্বের মসজিদ ছেড়ে বর্তমান মসজিদে চলে আসায় আসামিরা লায়েছ আহমদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামি মসজিদে এসে ১ নম্বর আসামির পিতা অসুস্থ বলে ‘ফু’ দেওয়ার জন্য ইমামকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার ৩ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন অবস্থান করছিলেন। বাড়িতে পৌঁছামাত্র আসামিরা দরজা বন্ধ করে দেন। এসময় মামলার ১ নম্বর আসামি মসজিদ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ইমামকে গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা ইমামের ওপর হামলা চালান।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, হামলার একপর্যায়ে ৩ নম্বর আসামি বাকি আসামিদের হুকুম দেন ইমামকে মেরে কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দেওয়ার জন্য। এ কথা শুনে ইমাম দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে বাকি আসামিরা ইমামকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে ও পায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। হামলার একপর্যায়ে আসামিদের কাছ থেকে ইমাম ছুটে দৌড় দিয়ে বর্তমান মসজিদের কাছে এসে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হামলার শিকার লায়েছ আহমদ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মামলার ১ নম্বর আসামি তাহের আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক বিকাশ সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।