সিলেটের গোলাপগঞ্জে একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে নদী ঝাঁপ দেওয়ার একদিন পর ভারসাম্যহীন ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের সহযোগিতায় কুশিয়ারা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত আলী হোসেন (৩৫) গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুর এলাকার আল-এমদাদ হাই স্কুলে একটি অনুষ্ঠান চলছিলো। বিকাল ৩টার দিকে আলী হোসেন এ অনুষ্ঠানস্থলে গেলে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেন। এসময় আলী হোসেনকে শিক্ষার্থীরা ধাওয়াও করেন বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে আলী হোসেন ছুটে গিয়ে স্কুলের নিকটস্থ চন্দরপুর ব্রিজের উপর থেকে কুশিয়ার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ব্রিজের উপর থেকে তাকে লক্ষ্য করে ইট-ঢিল নিক্ষেপও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একপর্যায়ে নদীর পানিতে তলিয়ে যান আলী হোসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সেখানে গিয়ে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে আলী হোসেনের সন্ধান না পেয়ে গতকালের মতো সন্ধান কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে রবিবার সকাল থেকে ফের খোঁজাখুঁজি শুরু করে বিকাল ৩টার দিকে চন্দরপুর ব্রিজের অদূরবর্তী স্থান থেকে আলী হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। পরে লাশটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন- লাশ উদ্ধার করে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসছেন। লাশের ময়না তদন্ত হবে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন- ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল (শনিবার) সেখানে আসলে কী ঘটেছে- তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- আলী হোসেনকে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়েছিলো এবং নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পরও তার দিকে তারা ইট-ঢিল ছুঁড়ে মেরেছিলো।
নিচে ভিডিও লিঙ্ক :
https://www.facebook.com/100084734170566/videos/1582726292498048/