সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইজারার টেন্ডারের আগেই বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২/৩ দিন থেকে এসব বাজারে অস্থায়ী পশুর হাট বসলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান।
জানা যায়, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৫টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর উপজেলা প্রশাসন বাজারগুলো ইজারা দেওয়ার জন্য আজ ২৫ জুন টেন্ডার আহবান করে। কিন্তু টেন্ডার দেওয়ার আগেই এসব স্থানে অবৈধভাবে একটি মহল পশুর হাট বসিয়ে দিয়েছে। নিলামের আগেই এসব স্থানে পশুর হাট বসালেও উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সরেজমিন গেলে দেখা যায় উপজেলার শরীফগঞ্জ মাদ্রাসা মাঠ, মীরগঞ্জ মাদ্রাসা মাঠ, ঢাকাদক্ষিণ হুসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠ, পশ্চিম খয়রুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মাঠ, মোকামবাজার এফব্লিউসি সংলগ্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার (২৪ জুন) একাধিক সাংবাদিক একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কল রিসিভ না করারও অনেক অভিযোগ রয়েছে সংবাদকর্মীদের।
গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সংবাদকর্মীরা যে কোন তথ্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করলে বেশির ভাগ সময় উনি ফোন রিসিভ করেন না। যে কারণে অনেক সময় তথ্য সংগ্রহে আমাদের ব্যাঘাত ঘটে।’
গোলাপগঞ্জ পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘গতকাল শনিবার একটি বক্তব্যের জন্য অনেকবার ওনাকে অনেকবার কল করেছিলাম, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একটি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তিনি যদি এমন কাজ করেন তাহলে সেটি দুঃখজনক।’
পশুর হাটের বিষয়ে আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নানের অফিসে গিয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি একটি ভিজিলেন্স টিম গঠনের কথা বললেও পরে তা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, নিলামের আগে অস্থায়ী বাজারের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকরা বলার পর অবগত হয়েছেন। এ বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি।