সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৬৬ জন জনপ্রতিনিধির ওপর মামলার প্রতিবাদে সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফোরামের আহ্বায়ক সেলিম আহমদের সভাপতিত্বে ও আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামরান হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল।
সভায় বক্তব্য দেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম আহমদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলালুজ্জামান হেলাল, পৌর কাউন্সিলর জামেল আহমদ চৌধুরী, সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মলিক উদ্দিন, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজমল হোসেন মনি, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, আমুড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল গফফার কুটি, বাদেপাশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জামিল আহমদ ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাদির আহমদ।
প্রতিবাদ সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন।
সভায় বক্তারা বলেন, অ্যাডভোকেট মুজিব কর্তৃক জনপ্রতিনিধিদের ওপর যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এর তীব্র নিন্দা জানাই। জনপ্রতিনিধিদের নামে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা করে জনপ্রতিনিধিদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন তিনি। আমরা তাকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি উপজেলা পৌর শহরে এ মামলার বিরুদ্ধে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি বক্তারা প্রতিবাদ সভায় ১০ জানুয়ারির মধ্যে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান যদি মিথ্যা মামলার ব্যাপারে ক্ষমা না চান তাহলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বড় পরিসরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
প্রতিবাদ সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত প্রায় শতাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রায় দেড় মাস পর গত ১ জানুয়ারি সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৬৬ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পরাজিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী। এ মামলায় তিনি বিবাদীদের কাছে বিভিন্ন অংকের টাকা পান বলে দাবি করেছেন।