সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়ে গোপনে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমালেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। এমন অভিযোগ উপজেলার ফুলবাড়ি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ফাতেহা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৬ আগস্ট) অনেকটা গোপনে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন শিক্ষক ফাতেহা ইয়াসমিন।
বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পেরে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেলা আক্তারকে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী মুঠোফোনে কল দেন। প্রধান শিক্ষক রাহেলা আক্তার এসময় ওই সংবাদকর্মীকে জানান, শিক্ষক ফাতেহা ইয়াসমিন এক মাসের জন্য মেডিকেল ছুটিতে আছেন। যুক্তরাজ্য চলে গেছেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে পুনরায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেলা আক্তারের কাছে মেডিকেল ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেডিকেল ছুটির জন্য ওই শিক্ষক লোক মারফতে আমার কাছে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। এক মাসের মেডিকেল ছুটি আপনি মঞ্জুর করতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার এখতিয়ার নয়। আপনি শিক্ষা অফিস বরাবর দরখাস্ত প্রেরণ করেছেন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দরখাস্ত এখনো আমার কাছে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সহকারি শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকটাত্মীয় হওয়ায় তিনি এই বিদেশ যাত্রায় সহযোগিতা করেন এবং শেষ পর্যন্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই শিক্ষকের ভাইকে দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অব্যাহতি পত্র পাঠান।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল ছুটির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি জানার পর আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। আজ রোববার ওই শিক্ষকের ভাই অফিসে এসে চাকরি হতে অব্যাহতি পত্র দিয়ে গেছেন।
দেশের বাহিরে থাকায় শিক্ষক ফাতেহা ইয়াসমিনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান নাজমুল আলম বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম