সিলেটের গোলাপগঞ্জে কবিরাজির কথা বলে মাহিন আহমদ নামে এক ইমামকে ডেকে এনে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ইমাম গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ঢাকা দক্ষিণে অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবং চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে জামিল আহমদ (২৩) ও একই এলাকার উমর আলীর ছেলে ফাহিম আহমদ (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মাহিন আহমদ পনাইরচক জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ছিলেন। তার বাড়ি বড়লেখা উপজেলার মাইজগ্রামে। ওই ইমামকে চাচাতো বোনের অসুস্থতার কথা বলে কবিরাজি চিকিৎসা করানোর জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে আসার জন্য অনুরোধ করে চোরচক্রের সদস্য আরিফ মিয়া (২৪)। ইমাম মাহিন আহমদ তার কথা মত নিজ মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে এলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চোরচক্রের সদস্য জামিল আহমদ ইমামকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ইমাম আরও ৪/৫ জনকে দেখতে পান।
পুলিশ আরও জানায়, এসময় চোরচক্রের সদস্যরা বিভিন্ন জিনিসপত্র আনার কথা বলে সময় নষ্ট করতে থাকে এবং বিভিন্ন কথা বলে ইমামকে ব্যস্ত রাখে। একপর্যায়ে আরিফ রোগী দেখার জন্য ইমামকে পাশের রুমে যেতে বলে। তখন ইমাম তার মোটরসাইকেলের চাবি, ব্যাগ ও মোবাইল টেবিলের উপর রেখে পাশের রুমে গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে তার সন্দেহ হলে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। বের হয়ে আসার পর দেখেন তার রাখা ব্যাগের চেইন খোলা এবং তার মোটরসাইকেলের চাবিসহ মোবাইল ফোনটি নাই। এসময় ইমাম তার জিনিসপত্রের কথা জিজ্ঞেস করলে আরিফ, ফাহিম ও জামিল কোনো সদুত্তর না দিয়ে ইমামকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভিতী প্রদর্শন করে সেখান থেকে বিদায় করে দেয়।
এঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক পার্থ সারথী দাস ও সহকারী উপপরিদর্শক আবু তাহের একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম