গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শিশু বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। একই সময়ে ইসরাইলি বোমা হামলায় ৫০ জিম্মির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
এদিকে ইসরাইল ও হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাত নিরসনে আজ যৌথ বিবৃতি দিয়েছে আরব বিশ্বের দেশগুলো।
বিবৃতিতে বাহরাইন, মিশর, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, আত্মরক্ষার অধিকার আইন ভঙ্গ এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে উপেক্ষা করার ন্যায্যতা দেয় না।
গাজা উপত্যকায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও সম্মিলিত শাস্তির জন্য ইসরাইলের প্রতি নিন্দাও জ্ঞাপন করেছেন তারা।
‘নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়ের’ মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আজ বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।
সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘গাজায় সব পক্ষের দ্বারাই যুদ্ধাপরাধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হচ্ছে। এই ধরনের নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভোগের মুখে মানবতাকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে।’
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি গাজায় ইসরায়েলি ‘অপরাধ এবং ধ্বংসযজ্ঞ’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ব্রিফ করার একদিন পর আজ নেদারল্যান্ডসের হেগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ইসরায়েলকে একটি পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার ইসরাইল যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তা ভিন্ন। এই মুহূর্তে… মনে হচ্ছে এটি একটি প্রতিশোধের যুদ্ধ।’