সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ক্যাসিমিরোর।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একাধিক পরিবর্তনে আক্রমণের ধার বাড়ায় সেলেসাওরা। গোলও এসেছিল ৬৪ তম মিনিটে। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ক্যাসিমিরো। এই জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করলো ব্রাজিল।
সোমবার রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে মাঠে নামে নেইমারবিহীন ব্রাজিল। শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়ে গেলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পাননি ভিনিসিয়ুস-রিচার্লিসনরা। খেলার শুরু থেকেই রক্ষণ সামলানোর দিকে মনোযোগ বেশি সুইজারল্যান্ডের। ফলে আক্রমণ করলেও তা কাজে লাগাতে পারছিল না ব্রাজিল।
ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় সুযোগ নষ্টে করেন রিচার্লিচন। পাকুয়েতার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। নইলে এ বারের বিশ্বকাপে নিজের ৩ নম্বর গোল করতে পারতেন তিনি।
২৭ মিনিটে বক্সের ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান রাফিনহা। বক্সে অরক্ষিত ছিলেন ভিনিসিয়ুস। সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। পায়ে বলে সংযোগ ভালো হয়নি ভিনিসিয়ুসের। বল বাঁচিয়ে দেন সোমার।
খেলা চলছিল মূলত সুইজারল্যান্ডের ডিবক্সের আশেপাশে। বারবার আক্রমণেেউঠেও সুইস রক্ষণ ভাঙতে পারেনি ব্রাজিল। ৩০ মিনিটে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন রাফিনহা। বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে শট মারেন তিনি।
৩৫ মিনিটের দিকে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণ তুলে আনার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু ব্রাজিলের অর্ধে সুইস ফুটবলারের সংখ্যা কম থাকায় আক্রমণ তেমন জোরালো হয়নি।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে কর্নার থেকে সুযোগ পায় ব্রাজিল। রাফিনহার ক্রসে গোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গোল আসেনি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থায় সাজঘরে যায় দুদল।
বিরতিতে দলে পরিবর্তন আনেন তিতে। পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামানো হয়। আক্রমণে আরও গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে ব্রাজিল। কিন্তু তবুও জমাট সুইস রক্ষণ।
৫৬ মিনিটে আবারও আবার সুযোগ নষ্ট করেন রিচার্লিসন। বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। ডান পায়ের আউট স্টেপে বল রাখেন তিনি। রিচার্লিসন পা ঠেকাতে পারলেই গোল হতো। কিন্তু পারেননি তিনি।
খেলার ৬৪ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দেন ভিনিসিয়ুস। প্রথমে রেফারি গোল দিলেও পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে বাতিল হয় সেই গোল। আক্রমণ তৈরি করার সময় অফসাইডে ছিলেন রিচার্লিসন। সেই কারণে গোল বাতিল হয়। নিজে অফসাইডে না থাকলেও সতীর্থের ভুলের খেসারত দিতে হয় ভিনিসিয়ুসকে।
অবশেষে ম্যাচের ৮৩ মিনিরটে গোল করলো ব্রাজিল। বাম প্রান্ত ধরে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগো যুগলবন্দিতে বক্সের মধ্যে বল পান ক্যাসেমিরো। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে সেই বল জালে জড়িয়ে যায়। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষক সোমারের।