কোম্পানীগঞ্জে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে যুবক আটক

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অপহরণ করে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার সহযোগী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। সে উপজেলার ভোলাগঞ্জ গ্রামের মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) দুপুর ২টায় উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. আসাদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

এর আগে গত ১২ মার্চ ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ভোলাগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফয়সাল আহমদ ওরফে ইমন (১৮)কে প্রধান আসামী করে অপহরণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা করায় ফয়সালের মা শিউলি বেগম ও পিতা আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ফয়সাল আহমদ ওরফে ইমন ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। হঠাৎ একদিন ভিকটিমকে একা পেয়ে অজ্ঞাতনামা সিএনজি দিয়ে অপহরণ করে আসামীর বাড়িতে রেখে ফয়সাল আহমদ একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় প্রধান আসামী ধর্ষণকারীকে সহযোগিতা করে শিউলি বেগম ও আনোয়ার হোসেন।

মামলার বাদী ভিকটিমের মা জানান, ৩ জন আসামীর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মামলার প্রধান আসামী সহ অন্য আসামীকে দ্রুত আটকের দাবী জানিয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকর্ড করার পর থেকে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলাম। আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে সময় লাগে। মামলার প্রধান আসামী পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ চেষ্টা করছি।’