সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-ছেলেসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে নারী শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা রেকর্ড হয় (মামলা নং-১৮)। আহতদের স্বজন দুলাল মিয়া ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে আলাল মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার স্ত্রী ময়মনা খাতুন (৩৫), দুই ছেলে সুরুজ মিয়া (২৫), সাইদুর রহমান (১৯), বোন নরুন নাহার খাতুন (৩০)। এর মাঝে গুরুতর আহত নরুন নাহার খাতুনের মাথা ফেটে যাওয়ায় মাথায় একাধিক সেলাই লেগেছে ও প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসকধীন রয়েছেন দুলাল মিয়া।
কোম্পানীগঞ্জ থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার সাথে চাচাতো ভাই জালাল মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত সোমবার দুলাল মিয়ার লাগানো বাশঁঝাড় থেকে বিনা অনুমতিতে বাঁশ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেওয়াতে জালাল মিয়ার নেতৃত্বে আলাল, হাসান, ইউনুস সহ ১০/১২ জন লোক দুলাল মিয়ার পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে দুলাল মিয়ার স্ত্রী, দুই ছেলে ও একবোন আহত হয়।
মামলায় সূত্রে জানা যায়, আহতদের চিকিৎসার জন্য কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও দুলাল মিয়ার পরিবারের উপর হামলার চেষ্টা করে জালাল ও তার সহযোগীরা। হাসপাতালে উপস্থিত লোকজন হামলাকারীদের বাধা দেওয়ায় হামলাকারীদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিকাল বেলা দুলাল মিয়ার স্ত্রী বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে জালালের লোকজন ময়মনা খাতুনের উপর অতর্কিত হামলা করে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ময়মনা বেগমকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই শাহ আলম বলেন, ‘২১ সেপ্টেম্বর মামলা রেকর্ড হওয়ায় সাথে সাথেই অভিযান চালিয়ে একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করি। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’