৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে দেশের সকল চা-বাগানে শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধ চলছে। দেশের ১৬৬টি চা-বাগানে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করেছেন চা-শ্রমিকরা।
মৌলভীবাজার-কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। লুহাইউনি ও ব্রাক্ষণবাজার এই দুই স্থানে সড়ক অবরোধে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন শ্রমিকরা। তবে দাবি মেনে না নেওয়ায় গতকাল শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় চা-শ্রমিক ইউনিয়ন।
শনিবার সকালে মৌলভীবাজার লুহাইউনি চা-বাগানে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সমাবেশে আসা নারী চা শ্রমিক সবিতা গড়াইত বলেন, আমাদের দুঃখ কেউ বোঝে না। আমরা চারদিন কর্মবিরতি করেছি। কিন্তু কেউ আমাদের এসে আশ্বাস দিল না। আমরা এত কষ্ট করে কাজ করি, কিন্তু আমাদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না। চাল, ডাল, তেল সবকিছুর দাম বেড়েছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ আছে। অসুখ হলে চিকিৎসা করাতে হয়। এর মধ্যে প্রতিদিনই জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়ছে না।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলছে। দেশের ১৬৬টি চা-বাগানে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ৩০০ টাকা মজুরি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। দেশের বিভিন্ন বাগানে চা-শ্রমিকরা একত্র হয়েছেন। বাগানে বাগানে সমাবেশ হবে।
শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশীয় চা-সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনাকালে এভাবে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করা বেআইনি। এখন চা-বাগানে ভরা মৌসুম। কাজ বন্ধ রাখলে সবার ক্ষতি। তারাও এই মৌসুমে কাজ করে বাড়তি টাকা পায়।