মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে থাকা ভাস্কর চাষা (৬৭) নামক ধর্ষণ মামলার এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ১৭ অক্টোবর ভোরে তিনি কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আত্মহননের চেষ্টা করেন। পরে সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ৭ বছরের এক মেয়ে শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে ভাস্কর চাষা (৬৭) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। ৯ অক্টোবর রাতে কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর চা বাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় ৯ অক্টোবর রাতে ওই শিশুর নানা বাদী হয়ে ভাস্কর চাষাকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শিশু গাজীপুর চা বাগানের শ্রমিকের মেয়ে। ৯ আগস্ট দুপুরে ভাস্কর চাষা ওই শিশুকে বাগানে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাগানের ভিতরে তার দোকানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ভাস্কর দোকান থেকে পালিয়ে যায়। শিশুটিকে প্রথমে কুলাউড়া ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৌলভীবাজারের জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আব্দুল কদ্দুছ জানান, ওই হাজতি কারাগারে অন্তরীণ হওয়ার সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষত থাকায় সে কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। সে ধর্ষণ মামলার ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে অনেকটা হতাশায় ভোগছিলো। সোমবার ভোরে সে হাসপাতালে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে মুমূর্ষ অবস্থায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই সে মৃত্যুবরণ করে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়ছল জামান জানান, জেলা কারাগার থেকে ফাঁস লাগা একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্ত শেষে জানান, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।