মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় মৌলভীবাজার- কুলাউড়া- বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীপুরবাজার, জালালাবাদ মিশন চৌমুহনী এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন জনৈক ফাতু মিয়া। এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মিশন চৌমুহনীতে কয়েক লক্ষ টাকার সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছেন ওই এলাকার ফাতু মিয়া। অবৈধভাবে নির্মিত মার্কেটটি তিনি মসজিদ মার্কেট বলে প্রচার করেন। বাস্তবে মার্কেটের ভাড়া উত্তোলন করে তিনি নিজে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এই ফাতু মিয়া মসজিদের জমি নিজে দখল করে মসজিদের একটি অংশও সড়ক ও জনপথের জায়গায় নির্মাণ করেন।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আলী এবং কোষাধ্যক্ষ আবদুল লতিফ জানান, মসজিদ কমিটির সভাপতি ফাতু মিয়া এককভাবে সরকারি জায়গায় মার্কেট বানাচ্ছেন। জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত টাকায় নির্মাণকাজ হচ্ছে বলেও তারা নিশ্চিত করেন। এটা মসজিদের কোন মার্কেট বা মসজিদ কমিটিও এই কাজে সম্পৃক্ত নয়। মুলত সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ফাতু মিয়া অবৈধভাবে পাকা মার্কেট নির্মাণ করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ফাতু মিয়া জানান, এলাকার কিছু মানুষ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। মার্কেটের জায়গা তিনি মসজিদের বলে দাবি করেন। দোকান ভাড়া মসজিদের ফান্ডে জমা হয় কিনা এর কোন সদুত্তর দেননি তিনি।
এ ব্যাপারে সওজের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম জানান, জায়গার সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছি। এব্যাপারে স্থানীয় ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথভাবে সেটা করতে হবে। তারা সময় দিলেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার অভিযোগের বিষয় সরেজমিন যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি)-কে নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে কুলাউড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) মেহেদী হাসান জানান, সড়ক ও জনপথের সমন্বয়ে বিষয়টির ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই মুহুর্তে আবার নির্বাচনী ঝামেলা শুরু হয়েছে। তবে অবশ্যই বিষয়টি সুরাহা হবে অচিরেই।