মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে চাচাতো ভাই সম্পত্তি জবরদখল করতে অমানবিক নির্যাতন চালান বৃদ্ধ বোনের উপর। নির্যাতনের কবল থেকে রক্ষা পেতে গত ১৭ মে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা জলিকা বেগম (৫৫)।
অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে এবং কুলাউড়া থানা পুলিশের একজন এসআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্যাতিতা ওই মহিলা বর্তমানে পঞ্চায়েতের এক মুরব্বির বাড়িতে আশ্রয়ে রয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কবিরাজী গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক আব্দুল খালিকের চাচাতো বোন হন জলিকা বেগম। জলিকা বেগমের কোন ভাই বোন নেই। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি বাপের বাড়িতে থাকেন দীর্ঘ দিন থেকে। ১৯ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে বেশ আগেই মারা গেছে। পৈত্রিক সূত্রে জলিকা বেগমের প্রায় সাড়ে চার একর স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। একই বাড়িতে চাচাতো ভাইয়েরও অবস্থান। কিন্তু চাচাতো ভাই আব্দুল খালিক ও তার স্ত্রী সাহিনারা বেগম প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। কিছুদিন পূর্বে এলাকায় প্রকাশ পায় জলিকা বেগমের কোন সম্পদ নাই।
এদিকে গত ১১ মে জলিকা বেগমের ওপর নির্যাতন চালায় চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রী। জলিকা বেগমের অভিযোগ তাকে ওইদিন মারধর করার পর একটি ছড়ার পাড়ে নিয়ে রেখে আসেন নির্যাতনকারীরা। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরব্বিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী কয়েক দফা সালিশ বৈঠক করলেও কোন সুরাহা হয়নি। অবশেষে নির্যাতিতা জলিকা বেগম স্বশরীরে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান খোন্দকারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সৌমিত্র কর্মকার জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করবো।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, নির্যাতিতা মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুত তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করলে ১৮ মে বৃহস্পতিবার তিনি সরেজমিন বিষয়টি তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে।