মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার নয়াবাজার কেসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচন বিতর্কিতভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম নামক এক প্রার্থী। তিনি কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও করেছেন।
লিখিত অভিযোগে মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নয়াবাজার কেসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য পদে তার নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করা হয়। ওই পদে আরেকজন সদস্য প্রার্থী হন। দু’জন প্রার্থী হওয়ায় ব্যালটের মাধ্যমেই বিষয়টির সমাধানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
কমিটির সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ রহস্যময় কারণে ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। সভাপতি প্ররোচিত হয়ে ভোট দেন এবং সদস্য সচিব ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ভোট দুই প্রার্থীর সমান হওয়ায় লটারির মাধ্যমে শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিধান থাকলেও সেটি না করে সভাপতি ফের ২য় বার ভোট দেন। মুলত তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এই চক্রান্তে লিপ্ত হন।
এব্যাপারে সদস্য সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রভাত চন্দ্র শর্মা জানান, ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকার কথা তিনি আগেই বলেছেন। যেই শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাকেই তিনি বরণ করে নেবেন।
এদিকে সভাপতি কমলা কান্ত ভৌমিক জানান, প্রথমে তিনি ভোট দিয়েছেন। ভোট সমান হলে তিনি লটারির মাধ্যমে শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, ইউএনও মহোদয়ের কাছে ও আমার কাছে লিখিত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।