কোনো কারণ উল্লেখ না করেই হঠাৎ করে গ্রীষ্মকালীন ছুটি (৭ দিন) বাতিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) প্রশাসন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিন্দার ঝড় তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অত্র এলাকার ভোটার হিসেবে রয়েছেন। তাই সিসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ছুটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের অফিসের দাপ্তরিক প্রয়োজনে তা বাতিল করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত ১৮ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ক্লাস ও অফিসগুলো খোলা থাকবে।
অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ২৫ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ৭ ও ৮ জুলাই সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় ৯ জুলাই রবিবার থেকে যথারীতিতে ক্লাস ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু হবে।
এদিকে হঠাৎ করে এমন বন্ধের ঘোষণায় ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস শেষ হয়েছে গত মাসে। বর্তমানে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি (পিএল) কিংবা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ ছুটি বাতিল করায় ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে অনেক আগে। সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করতে আগ্রহী নয়। অন্যদিকে ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্লাসও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক বিভাগীয় প্রধান।
এ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শেখ দেলোয়ার হোসেন ও সারাবনী লিখেছেন, ‘নির্বাচনের কারণেই এ ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’ সুজন বেপারী লিখেছেন, ‘ভোটের জন্য খোলা রাখা হয়েছে। ভার্সিটির অনেক স্টুডেন্ট এই ওয়ার্ডের (৩৭ নম্বর) ভোটার।’ হাসান আহমেদ লিখেছেন, ‘নির্বাচনের জন্য এরকম করা বুঝাই যাচ্ছে। এটা মানা যায় না।’ আনুশা আচার্য্য লিখেছেন, ‘ছুটি বাতিল করার উপযুক্ত কোনো কারণ পেলাম না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে চান নি। এছাড়া উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।