কানাইঘাটে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান নদীপথে বন্যাদুর্গত কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট থেকে সুরমা নদী পথে স্পিডবোট নিয়ে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দলইমাটি গ্রামের জেলে পল্লীর অর্ধ শতাধিক পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে খোঁজ খবর নেন।

জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জেলে পল্লীতে বসবাসকারী মানুষজন।

ত্রাণ বিতরণকালে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গত বুধবার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের খোঁজ-খবর নিতে বলেছেন। সার্বক্ষণিকভাবে সিলেট অঞ্চলে বন্যার খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি।’

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সরকার সিলেট অঞ্চলের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ বন্যাদুর্গত সব উপজেলায় অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বানভাসি মানুষের পাশে বেসরকারি উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া জোরদারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির তালিকা করার জন্য বলেছেন। সিলেট অঞ্চলে এবারের ভয়াবহ বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে করে বন্যায় আমাদের সম্পদ ও জানমালের ক্ষতি না হয় এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার তা করা হবে।

এছাড়া কানাইঘাট উপজেলার সুরমা ডাইকের ভাঙন কবলিত এলাকা পানি কমার সাথে সাথে বেড়িবাঁধ দেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান।

এ সময় তার উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার শাহাদাত, কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি, সহকারী কমিশনার ও চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আওশান, থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের কর্মকর্তা ছাড়াও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার আবু বক্কর, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিনসহ জনপ্রতিনিধিরা।