সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি আনতে গিয়ে আব্দুল কাদির (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সীমান্তের সোনাতনপুঞ্জি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) স্থানীয় সিঙ্গারীপাড় জামে মসজিদ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার বিকেল ২টার দিকে সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাসরত আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল কাদির (৪০) ও তার কিশোর ছেলে সোহাগ (১২) সহ কয়েকজন সীমান্তের সোনাতনপুঞ্জি এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে চিনি আনতে যান। বিকাল ৪টার দিকে চিনি নিয়ে ছেলেকে সাথে করে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকার ১৩১৩নং পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি টিলার উপরে পৌঁছালে আব্দুল কাদির হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করেন। এসময় তার ছেলে সোহাগকে বলেন বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে এসে তাকে নিয়ে যেতে। একথা বলার পর বমি করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় সোহাগ তাৎক্ষণিক সেখান থেকে বাড়িতে এসে পিতার বিষয়টি মা হোসনা বেগমসহ আশপাশের লোকজনদের জানায়। পরে আব্দুল কাদিরের স্ত্রী হোসনা বেগম ও ছেলে সোহাগ আহমদ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনকে অবগত করেন। পরে আব্দুল কাদিরের শ্যালক সেবুল আহমদ, বাউরভাগ ২য় খন্ড গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিন, ছেলে সোহাগ আহমদসহ কয়েকজন মিলে আব্দুল কাদিরের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এদিকে সীমান্ত এলাকায় আব্দুল কাদিরের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে কানাইঘাট থানা পুলিশ আব্দুল কাদিরের মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। ময়না তদন্ত শেষে রোববার তার মরদেহ পরিবারের হস্তান্তর করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোহেল মাহমুদ জানান, যেহেতু আব্দুল কাদির সীমান্ত এলাকায় মারা গেছেন, এজন্য তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আব্দুল কাদির চিনি আনতে গিয়ে সীমান্ত এলাকায় মৃত্যুর বিষয়টি তার ছেলে ও স্ত্রী আমাকে মুঠোফোনে জানান। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর আমিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আব্দুল কাদিরের মরদেহ দেখতে যাই।’