প্রায় ১৮ দিনব্যাপী চলতে থাকা এশিয়া কাপ উন্মাদনা শেষ হচ্ছে আজ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্দা নামছে এবারের আসরের। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মধ্য রাতে শেষ হবে শিরোপা লড়াই।
দুই দলের শক্তিমত্তার দিকে তাকালে আছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা লড়াইয়ের পূর্ভাবাস। ভারত ও শ্রীলঙ্কা উভয় দলই বেশ দাপট ধরে রেখেছে আসরে। যেখানে ৫ ম্যাচের ৪টি জিতে উভয় দল উঠে এসেছে ফাইনালে।
লঙ্কানদের বড় শক্তি তারা আজ খেলবে ঘরের মাঠে। গ্যালারি পক্ষে থাকা মানেই ক্রিকেটারদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। তাই ভারতকে হারিয়ে যদি লঙ্কানরা চ্যাম্পিয়ন হন তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এদিকে ভারত এমন ভারসাম্যপূর্ণ দল, তাদের ভেন্যু কোনো বিষয় নয়, যে কোনো প্রতিপক্ষকে যে কোনো মাঠে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো একদল পরীক্ষিত সৈনিক আছে তাদের। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই দুর্দান্ত ভারত।
এশিয়া কাপের পরিসংখ্যানে এই দুই দলে মুখোমুখি হয় ২২টি ম্যাচে। যেখানে ১১ বার জিতেছে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার জয়ও ১১ ম্যাচে। এছাড়া এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ৭টি শিরোপা নিয়েছে ভারত, বিপরীতে লঙ্কানরা নিয়েছে ৬টি। তাই শানাকাদের সামনে ভারতের সঙ্গে বেশি শিরোপার দলে ভাঙ বসানো। অন্যদিকে রোহিত শর্মাদের সামনে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা বাড়ানোর সুযোগ।
ফাইনালের মঞ্চে দুই দলের চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের খেলোয়াড়দের চোঁট। শিরোপার মঞ্চে অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে পাচ্ছে না ভারত। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দর। অন্যদিকে মহেশ থিকসানাকে পাচ্ছে না লঙ্কানরা। থিকশানার পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে অফব্রেক স্পিনার সাহান আরাশিগেকে।
অপরদিকে মেগা ফাইনালে দুশ্চিন্তার নাম বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৮০-৯০ শতাংশ। দুপুর সাড়ে তিনটায় খেলা শুরু। তবে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত ২০ ওভার করে খেলতে হবে দুই দলকে। সোমবার থাকছে রিজার্ভ ডে। আর রিজার্ভ ডেতেও খেলা না হলে দুই দলকেই যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভারত সম্ভাব্য একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, ইষান কিশান, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কা সম্ভাব্য একাদশ
দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুশাল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রম, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ভেল্লালাগে, সাহান আরাশিগেকে, কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম