সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রাজা গিরিশচন্দ্র রায় এর ম্যুরাল স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে।
এমসি এইচএসসি’ ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দের অর্থায়নে শনিবার (২২ জুলাই) রাজা গিরিশচন্দ্র রায়ের ম্যুরাল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন মুরারিচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষকমণ্ডলীসহ বিভিন্ন ব্যাচের বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী (সশরীরে ও ভার্চুয়ালি)। কলেজ প্রাঙ্গণটি এ সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা আনন্দ-উচ্ছ্বাস, সম্প্রীতির বন্ধন ও প্রাণবন্ত মিলনমেলায় পরিণত হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সৌন্দর্য্যমন্ডিত এই উদ্বোধন পর্বটি সকলের নিকট স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৩২ বছরের পুরনো ও সিলেট তথা আসামের প্রথম এবং বাংলাদেশের ৭ম ঐতিহ্যবাহী কলেজ মুরারিচাঁদ সরকারি কলেজ ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যা এমসি কলেজ নামে দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং এই কলেজের অগনিত শিক্ষার্থী বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বিভিন্ন পেশা ও কর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এবং উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দ্যুতি ছড়াচ্ছেন।
কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট রায়নগরের রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় (১৮৪৫-১৯০৮)। তিনি সিলেটের প্রথম রায়বাহাদুর ও একমাত্র রাজা খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তি। শিক্ষাবিস্তারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে তাঁকে রায়বাহাদুর এবং ১৮৯৯ সালে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। রাজা গিরিশ চন্দ্র রায়ের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এমসি এইচএসসি’ ৯১ ব্যাচের আবেদনের প্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ স্থাপনা কাজের অনুমতি দেন।
এই ম্যুরাল স্থাপনার কাজটি সম্পূর্ণভাবে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব অর্থায়নে এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজের যৌথ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুরারিচাঁদ সরকারি কলেজ, সিলেট এর প্রতিষ্ঠাতা রাজা গিরিশ চন্দ্র রায়-এর ম্যুরাল স্থাপন কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।