টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিগতদিনের সকল বন্যাকে অতিক্রম করেছে এবারের বন্যা। বন্যার কারণে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় খুলে দেওয়া হয় আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের একটি ছিল উপজেলার এমসি একাডেমি। গত শনিবার থেকে এখানে বাড়ি-ঘর ফেলে জীবন বাঁচাতে এ আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আসতে থাকেন।
তবে উপজেলা থেকে বানের পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় আজ রোববার (২৬ জুন) এমসি একাডেমি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫৮টি পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেওয়া হয়। সেই সাথে বন্ধ ঘোষণা করা আশ্রয়কেন্দ্রটি। যাওয়ার সময় প্রত্যেকটি পরিবারের হাতে নগদ টাকা ও চাল তুলে দেওয়া হয়।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, আশ্রিতরা সাথে নিয়ে আসা আসবাবপত্র, কাপড়চোপড় সবকিছু নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউবা মাথায় করে, কেউবা গাড়িতে করে এসব জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। এতদিন এক সাথে থাকায় তাদের মধ্যে এক ভালবাসা সৃষ্টি হয়। তাই বিদায় বেলা তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেন।
সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা জব্বার আহমদ। গত শনিবার পরিবার নিয়ে তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেন। তিনি বলেন- ‘আমাদেরকে মানুষ অনেক ভালভাসে। যতদিন ছিলাম কোন কিছুর অভাব করতে হয়নি।’
লালনগর এলাকার আরেক যুবক বলেন- ‘আজ চলে যাচ্ছি। ঘর থেকে পানি নামলেও উঠোনে পানি রয়েছে। অনেক ক্ষতি হয়েছে বাড়ির। এখন সেগুলো মেরামত করতে হবে।’
আশ্রয়কেন্দ্রের তত্বাবধানে থাকা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহেল আহমদ বলেন- ‘বিদায় বেলা প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা ও চাল সাথে দিয়েছি। তারা চলে যাচ্ছেন এরপরও তাদের খোঁজ খবর রাখা হবে। আশ্রয়কেন্দ্রে যারাই সহযোগিতা করেছেন এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকে দুপুরের পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’