সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবার সিলেট সফর উপলক্ষে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই আমি রাজনীতির মাধ্যমে আপনাদের সাথে সম্পৃক্ত আছি। জেল-জুলুম খেটেছি। লন্ডন থেকে ফিরে এসে নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছি। এভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেই আজকের অবস্থানে এসেছি। লন্ডন থেকে এসে নেত্রীর দোয়া নিয়ে ২০০৮ সালে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করেছি। তারপর বিজয়ী হয়েছি। ৫ বছর উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছি। ২০১৪ সালেও নমিনেশন চেয়েছিলাম কিন্তু দলের স্বার্থে সেই নির্বাচনে মহাজোটকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির ও সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বিজয়ী হয়েছি। এটা আমার বিজয় নয় আওয়ামী লীগের বিজয়। যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ঢাকায় শপথ নেই এর পরদিন মন্ত্রী পরিষদে স্থান পাওয়ার খবর পাই। সেটা অত্যন্ত আনন্দের ছিল। নেতা-কর্মীদের উচ্ছাস ও আনন্দ দেখে খুবই খুশি। এই আনন্দ নেতা-কর্মীদের প্রাপ্য। আমি যেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি সেখানে কাজ করার সুযোগ আছে। বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হলে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে হবে। প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অতীতেও এই মন্ত্রণালয়ে অনেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আমার পালা। যদি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি তাহলে সুনাম হবে আপনাদের। সেই ব্যাপারে অবগত আছি।’
এবারের নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পেরেছি। একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার আরও বেশি উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবো। আর আমি মন্ত্রী নয় আপনাদের শফিক ছিলাম, শফিক হিসেবেই থাকতে চাই।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ নিজাম উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এড. আব্দুল মালিক, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস।
নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপিকে নবগঠিত মন্ত্রি পরিষদে ‘প্রতিমন্ত্রী’ হিসেবে নিযুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আগামীতে শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি কে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, এড. শাহ ফরিদ আহমদ, এড. মো. নিজাম উদ্দিন, এড. শাহ মো. মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, আইন সম্পাদক এড. আজমল আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. মবশ্বির আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাকুর রহমান মফুর, মো. নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, আবদাল মিয়া, এড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, শাহিদুর রহমান শাহিন, আব্দুল বাছিত টুটুল, এম কে শাফি চৌধুরী এলিম, মো. জাকির হোসেন, এড. আফসর আহমদ, এড. ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাপ মিয়া, ডা. নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নবী হোসেন প্রমুখ।
মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, এড. প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মো. সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. সৈয়দ শামীম আহমদ, এড. সালেহ আহমেদ সেলিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য এড. মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা কানাই দত্ত, জাতীয় শ্রমিক মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি।