এমপক্স নিয়ে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক এমপক্স (পূর্বে মাঙ্কিপক্স হিসেবে পরিচিত ছিল) রোগ নিয়ে সিলেটে স্বাস্থ্য সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ (সিউমেক) এর উদ্যোগে কলেজ মিলনায়তনে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

রোগটি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য জনিত জরুরি সতর্কতা অবস্থা জারির পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ (সিউমেক) এর মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি এবং কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এমপক্স রোগের পরিচিতি, বিবরণ, সচেতনতা প্রস্তুতি (Mpox- Overview, Awareness and Preparedness) শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষা প্রফেসর ডা. শাহানা ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ডা. অচিরা ভট্টাচার্জ এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে এমপক্স রোগের উপর বক্তব্য রাখেন, মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সায়েম রহমান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জিলওয়াতুন নুর এবং কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মারজান আহমেদ।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্য হিসেবে বক্তব্য রাখেন হলি সিলেট হোল্ডিং লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ফজলুর রহিম কায়সা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. অয়েস আহমেদ চৌধুরী, মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মাহজুবা উম্মে সালাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মহসিনা খাতুন, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. ফেরদৌস হাসান চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল পাটোয়ারী।

উপস্থিত চিকিৎসক এবং শিক্ষকগনের প্রশ্ন-উত্তর পর্বের শেষে বক্তব্য প্রদান কালে প্রফেসর ডা. ফজলুর রহিম কায়সার বলেন- যে কোন প্রয়োজনে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমপক্স-এর নিয়ন্ত্রন ও চিকিৎসার লক্ষ্যে সদা প্রস্তুত থাকবে। রোগটির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরীর উপর চিকিৎসকদের জোর দিতে হবে।

প্রফেসর ডা. মো. অয়েস আহমেদ চৌধুরী বলেন- অনাগত এই জীবন হানিকর এমপক্স রোগের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির কোন বিকল্প নেই। ছড়িয়ে পড়ার আগেই এই রোগটির বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. শাহানা ফেরদৌস চৌধুরী বলেন- এমপক্স রোগের বিস্তার, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার সমন্ধে বিশেষ জ্ঞান অর্জন প্রতিটি চিকিৎসকের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। যে কোন মহামারী রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি ও সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।