নির্ধারিত তারিখে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করে সে। পরীক্ষার ফিও জমা দেয় কলেজের সংশ্নিষ্ট শিক্ষকের কাছে। কিন্তু প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে জানতে পারে তার ফরম পূরণই হয়নি। এতে পরীক্ষা দেওয়া হলো না তার।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি কলেজে। বিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর নাম দিলশাত জাহান তুলি। যথাসময়ে ফরম পূরণ করেও শেষমেশ পরীক্ষা দিতে না পারায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তুলি জেলার বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রামের ফারুক উদ্দিনের মেয়ে।
তুলি ২০২১ সালে বড়লেখা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে বছর অন্য বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হলেও জীববিজ্ঞানে তার ফল খারাপ হয়। ফলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় গত মঙ্গলবার জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার।
তুলির চাচা মুমিন উদ্দিন জানান, তাঁর ভাতিজি যথাসময়ে কলেজের এক শিক্ষকের কাছে ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করে। পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হলে তুলি কলেজে যোগাযোগ করে। তাকে বলা হয়, পরীক্ষার আগের দিন অথবা পরীক্ষার দিন সকালে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতো পরীক্ষার দিন সকালে তাঁর এক ভাতিজাসহ তুলি প্রবেশপত্র আনতে যায়। তখন কলেজ অধ্যক্ষ জাহেদ আহমদ বলেন, ‘তুলির কোনো ফরম ফিলাপই হয়নি। অ্যাডমিট কার্ড আসবে কীভাবে।’
তাঁর ভাতিজা তখন অধ্যক্ষকে বলে, তাঁরা জানিয়েছিলেন পরীক্ষার দিন সকালে প্রবেশপত্র নিতে। কিন্তু এখন ভিন্ন কথা বলছেন। নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করার পরও প্রবেশপত্র না আসার কারণ কী? এ সময় অধ্যক্ষ জাহেদ আহমদ ভাতিজার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে কলেজ থেকে তাকে তাড়িয়ে দেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহেদ আহমদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রবেশপত্র বিতরণের সময় ওই ছাত্রী যোগাযোগ করেনি। তখন প্রবেশপত্র না আসার বিষয়টি জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তার (তুলির) চাচা যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁকে কলেজে আসতে বলেছেন। কেন ফরম পূরণ হয়নি, আলোচনা করলে বোঝা যাবে।
গভর্নিং বডির সভাপতি ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না, এখন জানলেন। তদন্ত করে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।