দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) নিষ্ক্রিয় থাকায় দেশের অধিকাংশ অঞ্চল বৃষ্টিহীন। কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে তবে তাও খুবই সামান্য। আগামীকাল রোববার (১০ জুলাই) ঈদের দিন আবহাওয়া মোটামুটি এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাই এবারের ঈদ উদযাপনে বৃষ্টির বাগড়া দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে পশু কোরবানির কার্যক্রম নির্বিঘ্নে করতে পারবে মানুষ। চলাচলের ক্ষেত্রেও পড়তে হবে না দুর্ভোগে।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেটে এক পশলা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য স্থানেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তাই ঈদের দিন সারাদেশে গরমের অস্বস্তি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
রোববার (১০ জুলাই) মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
শনিবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট অঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা বিভাগের দুই এক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কিছু কিছু স্থানে (১ থেকে ২৫ শতাংশ এলাকা) খুবই হালকা (সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
সারাদেশে ঈদের দিনের তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করবে জানিয়ে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় সারাদেশে গরমের অনুভূতি থাকবে। এখন রাজশাহী ও নীলফামারীতে দুর্বল মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এটা রোববারও অব্যাহত থাকতে পারে।
এখন মৌসুমি বায়ু খুবই দুর্বল অবস্থায় আছে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সোমবারের পর থেকে মৌসুমি বায়ু ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে শুরু করবে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের পর বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের ৪৩টি বৃষ্টি পরিমাপক কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টিতে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় রাজশাহী বিভাগ ছিল বৃষ্টিহীন। সবচেয়ে বেশি ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। বৃষ্টি কম থাকায় ঢাকাসহ সারাদেশেই ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ।