ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ৩৫০ জন। এখনও আমরণ অনশনে বিক্ষোভকারীরা।
হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সরাসরি সংবাদ প্রচারে প্রকাশ করেছে এ তথ্য।
এর আগে সোমবার (২৯ আগস্ট) সদরের রাজনীতি থেকে অব্যাহতির ঘোষণায় ওইদিনই সহিংসতার সূত্রপাত হয় দেশটির রাজধানী বাগদাদে। নিহতদের সবাই সদরের সমর্থক বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা বাগদাদের সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত গ্রিন জোনে ঢুকে পড়ার প্রেক্ষাপটে এই সংঘর্ষ হয়। সেখানে গোলাবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। সহিংসতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনী সোমবার সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল কাদিমি।
প্রায় ১০ মাস আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখনও দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, মুকতাদা আল-সদরের দলের তরফে উত্থাপিত কিছু দাবির কারণে নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই সোমবার এক বিবৃতিতে স্থায়ীভাবে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন সদর। ওই ঘোষণার পর তার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
বাগদাদ থেকে আল জাজিরার মাহমুদ আবদেল ওয়াহেদ জানান, সোমবারের সংঘর্ষের সময় বাগদাদের গ্রিন জোন কার্যত একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার বদলে উল্টো বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্দুকের আওয়াজ আসতে থাকে।
গ্রিন জোনে গোলাবর্ষণের পেছনে কারা ছিল তাৎক্ষণিকভাবে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা সূত্র বলছে, সদর সমর্থকরা বাইরে থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় ভেতরে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী কোনো ‘জবাব দেয়নি’।