বাংলাদেশ স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে গোলশূন্যভাবে রুখে দিয়েছে। অতীতে ইন্দোনেশিয়াকে হারানোর রেকর্ড থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিচারে এই ড্র বাংলাদেশের জন্য বেশ ইতিবাচক ফলাফল বটে!
বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের বাংলাদেশের হয়ে এই নিয়ে তিনটি ম্যাচে কোচিং করলেন। এটিই তার কোচিং ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অবস্থান। আজ হ্যাভিয়ের পাশের ডাগ আউটে ছিলেন ২০১৮ বিশ্বকাপে কোচিং করানো কোরিয়ান ফুটবলার শিন তাই ইয়াং। তার কোচিংয়ে কোরিয়া ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়েছিল রাশিয়াতে। সেই বিশ্বকাপে কোচিং করানো শিন তাই ইয়াং নিজেদের মাটিতে মাত্র তিন ম্যাচ কোচিং করানো হ্যাভিয়েরের বিপক্ষে জিততে পারলেন না।
এই ড্রয়ের পেছনে কোচ হ্যাভিয়েরের যতটা না অবদান এর চেয়ে বেশি কৃতিত্ব গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। পুরো ম্যাচে তিনি অসাধারণ কয়েকটি সেভ করেছেন। তার এই সেভের জন্যই বাংলাদেশের হারের বদলে একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে।
ম্যাচের ফলাফল যেমন ইতিবাচক আছে, তেমনি খানিকটা নেতিবাচক খবরও আছে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ ব্যথা পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন। তার পরিবর্তে নামা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সোহেল রানা একটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং করতে পারেননি।
তপু, তারিক কাজীর মতো পরীক্ষিত ডিফেন্ডার না থাকলেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ মোটামুটি ভালোই সামলেছিল স্বাগতিকদের। কিছুক্ষেত্রে দুভার্গ্যরেও শিকার স্বাগতিকরা। তাদের দুই-তিনটি আক্রমণে রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক পরাস্ত হলেও পোস্টের একটু উপর দিয়ে যাওয়ায় গোল বঞ্চিত হয়। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ড্র।
২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ এই ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল। বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য ইন্দোনেশিয়া একটা পয়মন্ত ভেন্যু হিসেবেই রইলো।