ধর্মশালায় বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে আছে ইংল্যান্ড। সুপার ফোরে যাওয়ার দৌড়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটি।
আজ রোববার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আসরের ১৩তম খেলায় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে মাঠে নামবে এই দুই দল।
ক্রিকেটের একদিনের এই ফরম্যাটে আইসিসির বড় ইভেন্ট ছাড়া মুখোমুখি হয়নি দুই দল। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান অভিষেক হওয়ার পর থেকে আজকের আগে দুই বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ডের। আর দুইবারই ইংল্যান্ড একপেশে শক্তি দেখিয়ে জিতেছে ম্যাচ। আফগানরা শুরু চেষ্টা করেছে ব্যবধান কমানো। প্রথম বার ২০১৫ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় এই দুই দল সেইবার সিডনিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাধায় খেলার ওভার কমিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান। তাতে নির্ধারিত ৩৬.২ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১১১। পরে দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি হলে সেই রান ইংল্যান্ডের জন্য হয়ে যায় ১০১ আর ওভারও কমে যায় ১১টি। তবে ৪১ বল বাকি থাকতে তা ৯ উইকেটে জয় পায় তারা। এছাড়া দ্বিতীয় দেখায় গেল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ঘরের মাটিতে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো, জো রুট ও দলের তত্কালীন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে রানের বন্যা বইয়ে দেয় ইংলিশরা। ছয় উইকেটের বিনিময়ে তুলে ৩৯৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের তোপে ১৫০ রানের ব্যবধানে হেরে যায় আফগানরা।
চার বছরের ব্যবধানে আবার মুখোমুখি। এবারও ইংল্যান্ড দল রয়েছে দারুণ ছন্দে। গত আসরের মতো দলে আফগান বোলারদের ওপর ঝড় তোলা মর্গান না থাকলেও রয়েছে দাভিদ মালান, লিয়াম লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুকস, বাটলারদের মতো তারকা ব্যাটার। তাদের সঙ্গে তো রয়েছে বেয়ারস্টো আর রুটও। যদি শক্তি সামর্থ্যের হিসাব করা হয় তাহলে সব দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে ক্রিকেটে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে যা সমর্থকরা বা প্রতিপক্ষ চিন্তা ও করতে পারে না। তেমনি কিছু ঘটালেও ঘটাতে পারে আফগানরা। কারণ তাদের বর্তমান দলেও বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড় রয়েছে। যারা নিয়মিত বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছে। কিন্তু আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে এখনো তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের থেকে অনেকটা পিছিয়েই আছে।
তবে যাই হোক দিল্লিতে আগের ম্যাচগুলোর মতো যদি পিচ কন্ডিশন রাখা হয় আজকের ম্যাচে তাহলে রবিবারের এই ম্যাচটি হবে ব্যাটারদের প্রদর্শনীর। বোলাররা এ ম্যাচে কার্যত রান চাপিয়ে রাখা ছাড়া পিচ থেকে বড় কোনো সহায়তা পেতে যাচ্ছে না। চলমান বিশ্বকাপের এখনো পর্যন্ত ২টি ম্যাচ খেলা হয়েছে এবং উভয় ম্যাচেই আমরা ঝোড়ো ব্যাটিং দেখতে পেয়েছি। তাই এখানে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস বড় ভূমিকা রাখে। কারণ টস জিতেই প্রতিপক্ষকে রানের চাপে ফেলার সুযোগ থাকে। আর ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করলে আফগানিস্তানকে যে রানের পাহাড়ের নিচে ফেলবে তা আগে থেকেই অনুমেয়।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম