দেশের টাকায় বানানো স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে একসঙ্গে জ্বলে উঠল ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে বাতি জ্বালানো হয়। এই প্রথম সম্পূর্ণ সেতুর সবকটি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বলল। হলো আলোকিত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ ও শরীয়তপুরের জাজিরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম সম্পূর্ণ সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মাধ্যমে দিবা-রাত্রী যানবাহন চলাচলের জন্য সবটুকু কাজ শেষ হয়েছে।
এর আগে গেল (৪ জুন) বিকেলে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন সেতুর সবকটি বাতি জ্বালানো হয়। তখন সেতুতে জেনারেটরের বিদ্যুৎতের মাধ্যমে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। গতকাল (১৩ জুন) সোমবার মাওয়া প্রান্তে বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জালানো হয়।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়।
মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় ১৮ এপ্রিল। ২৪ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিলারে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ৮০ কিলোওয়াট ও মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া আরও ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হলো।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন সকাল থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।