জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে স্বল্প-পাল্লার জোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার কাংওয়ান প্রদেশের টংচোন এলাকা থেকে উৎক্ষেপণের শনাক্তের দাবি করেছেন দ. কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস)।
সিউলের ১২ দিনের ‘হোগুক’ সামরিক মহড়ার শেষ দিনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং। আগামী সপ্তাহে দ.কোরিয়া ও মার্কিন বাহিনী ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে বড় ধরনের যৌথ বিমান মহড়ার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইয়োনহাপ।
জয়েন্ট চিফ দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিকে শুক্রবার জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি কিম জং উনের প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে এর আগে দেশটি জানিয়েছিল, পিয়ংইয়ংয়ের ওয়াশিংটন-সিউলের যৌথ সামরিক মহাড়ার প্রতিবাদে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলতি বছর রেকর্ড ভাঙা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উ. কোরিয়া। এ নিয়ে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন, ২০১৭ সালের পর প্রথমবার একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে পিয়ংইয়ং। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশটি প্রথমে ছোট আকারের একটি ট্যাকটিক্যাল অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যা দেশটির পরীক্ষা করা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
যে কোনও ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় উ.কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে বার বার উদ্বেগ জানিয়ে আসছে প্রতিবেশি দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।