সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি জনগণের দল, তাই আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলি। আর জনগণের পক্ষে কথা বললে আওয়ামী লীগের সহ্য হয় না। তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। আওয়ামী লীগ তখন পাগল হয়ে যায়। আর জনগণের পক্ষে কথা বলেলেই তারা গুম ও খুনের উৎসবে মেতে উঠে। এটি তাদের চারিত্রিক সমস্যা। তাদের পুরাতন অভ্যাস অনুযায়ী জনগণের দাবি নিয়ে যখন ভোলার রাস্তায় আমাদের ভাই আব্দুর রহিম নেমেছিল, তখনই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। নিহত আব্দুর রহিমের মমতাময়ী মা আজ হাহাকার করছেন। অশ্রু ভেজা নয়নে তার প্রশ্ন হচ্ছে- ‘আমার ছেলে তো নিজের স্বার্থের জন্য কোনো কথা বলেনি, আন্দোলন করেনি। আমার ছেলে তো জনগনের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। এই ছেলেই ছিল আমার পরিবারের একমাত্র ভরসা। এখন আমরা কোথায় যাবো, কি খাবো?’ অসহায় এই মায়ের এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে, তার চেখের জল কে মুছে দেবে? শুধু এক আব্দুর রহিমের মা-ই নয়, এভাবে হাজারো আব্দুর রহিমের মা এভাবে নিরবে চেখের অশ্রু জড়াচ্ছেন। এসব মায়ের চোখের জলেই আওয়ামী লীগ বঙ্গোপসাগরে ভেসে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ উপজেলার রানাপিং এলাকায় ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত আব্দুর রহিম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় কৃষকদের ফসল ভেসে গেছে। পানি নামার পর কৃষকরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ঠিক তখনই সরকার পরিকল্পিতভাবে সারের দাম প্রতি কেজিতে ৭ টাকা করে বাড়িয়েছে। তারা এদেশের মানুষকে বাঁচতে দেবে না। তাই বেঁচে থাকতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।
গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মুশিকুর রহমান মুহির সভাপতিত্বে ও সাবেক চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গুম ও খুনের নৈরাজ্যে দেশের মানুষ অতিষ্ট। মানুষ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করতে পারে না। আমাদের ভাই আব্দুর রহিমের রক্ত বৃথা যাবে না। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। সেই সময় আওয়ামী লীগ পালাবার রাস্তা খুঁজে পাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমদ, বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী, নুমান উদ্দিন মুরাদ, নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন, মাহবুবুর রহমান ফয়সল, আহাদ চৌধুরী শামীম, মাহবুব আলম, আবুল কাশেম প্রমুখ।