আগামী ১০ জুলাই রোববার ঈদুল আযহা। কোরবানীর এই ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। ঐতিহ্যবাহী আজমিরীগঞ্জ পৌর গরুর হাট ময়দানে প্রতি রোববার সকাল থেকে মধ্য রাত অবধি বসছে এই হাট।
তবে গত তিন দফায় সিলেট-সুনামগঞ্জের পর হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতা কম হওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা। হাটে পর্যাপ্ত কোরবানীর থাকলেও বন্যার কারণে ক্রেতা কম বলছেন বিক্রেতারা।
গত ১৭ জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যা পরিস্থিতিতে পৌর গরুর হাটের মাঠটি পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে ১৯ ও ২৬ জুন রোববার ঠিকমত হাট পরিচালনা করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে ঈদুল আজহা সন্নিকটে হওয়ায় শনিবার (২রা জুলাই) দুপুর থেকেই বিভিন্ন স্থানের বিক্রেতারা কোরবানীর পশু নিয়ে হাজির হয়েছেন হাটে।
রোববার (৩ জুলাই) সরজমিনে আজমিরীগঞ্জ পৌর গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিক্রেতারা গরু, মহিষ ছাগলসহ বিভিন্ন কোরবানি যোগ্য পশু নিয়ে এসেছেন হাটে। সেই সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারাও হাটে এসেছেন।
বানিয়াচং উপজেলার নন্দী পাড়া গ্রামের সুমন মিয়া হাটের সবচেয়ে বড় গরুটি নিয়ে এসেছেন বিক্রীর জন্য। আলাপকালে তিনি জানান, আমি দাম হাঁকছি ৪ লক্ষ টাকা তবে বন্যার কারণে বাজারে ক্রেতা কম। ২ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বলছেন ক্রেতারা।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি গ্রামের গরু বিক্রেতা নবী হুসেন জানান, বন্যায় গরুর অবস্থা খারাপ। খাবার-দাবার ঠিক দিতে পারি নাই, ক্রেতাও কম।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের নোয়াঁগাও এর বাসিন্দা সোহেল মিয়া জানান, ‘কোরবানীর হাটে বিক্রি করব বলে নিজের ছোট্ট খামারে কয়েকটি ষাঁড় পালন করেছিলাম। কিন্তু বন্যায় বাজারের যে অবস্থা খরছের টাকাই উঠবে না।’
আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার ভাটী সমীপুরের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া নিজের বাড়িতে পালন করা একটি ষাঁড় নিয়ে এসেছেন হাটে বিক্রীর জন্য। তিনি জানান, ‘সকালে হাটে এসেছি এখন পর্যন্ত গরু বিক্রি করতে পারিনি, বন্যায় ক্রেতা খুবই কম।’
হাটে ইজারা আদায়কালে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে বাজারটিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ক্রেতা বিক্রেতার সুবিধার্থে কম রেটে ইজারা আদায় করছে। বন্যা পরিস্থিতির জন্য এবার হাটে ক্রেতা কম। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) আরো একটি কোরবানীর পশু হাট বসবে।