‘এক/এগারো’-এর সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে নিজের কারান্তরীণ সময়ের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যতবার গ্রেফতার হয়েছি, ততবারই নেতার্কমীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি; চিঠির মাধ্যেমে নেতাকর্মীদের নিদের্শনা দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের জেনারেল (সাধারণ) নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে- এটা বাবার সময়ও দেখেছি।’ সেসময় আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে মুক্তি দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (১১ জুন) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্ত দিবস উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর প্রথমবার দেশে ফিরে আসার সময়ে বর্ণনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে অ্যারেস্ট করা হয়, ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি যে- কারও কাছে, কোনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করবো না।’
আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ‘এক/এগারো’-এর অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে থাকাকালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে। সেসময় ক্রমাগত অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।